দুবাই, ২৮ সেপ্টেম্বর: এশিয়া কাপের ১৭তম আসরের ফাইনালে আজ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এই ম্যাচ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে। ১৯৮৪ সাল থেকে শুরু হওয়া এশিয়া কাপের ৪১ বছরের ইতিহাসে এটি প্রথমবার যখন ফাইনালে লড়বে এই দুই দল।
টুর্নামেন্টে ভারত এখনও অপরাজিত, গ্রুপ পর্ব ও সুপার ফোর মিলিয়ে ৬টি ম্যাচে জয় পেয়েছে। সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে সুপার ওভারে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে টিম ইন্ডিয়া। অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে দলটি রেকর্ড নবম শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবে। ভারতের অতীত রেকর্ড দুর্দান্ত—এশিয়া কাপে ৮ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা (১৯৮৪, ১৯৮৮, ১৯৯০-৯১, ১৯৯৫, ২০১০, ২০১৬, ২০১৮, ২০২৩) এবং মোট ১১ বার ফাইনাল খেলেছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তান গ্রুপ ও সুপার ফোর মিলিয়ে ৪ জয় ও ২ হার নিয়ে ফাইনালে উঠেছে। সুপার ফোরে বাংলাদেশকে ১১ রানে হারিয়ে তারা ফাইনালের টিকিট পায়। ২০১২ সালের পর এশিয়া কাপ জয়ের স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান, যারা এর আগে ২০০০ ও ২০১২ সালে শিরোপা জিতেছে। দলের অধিনায়ক সালমান আঘা (আঘা সালমান) বলেছেন, “আমরা শিরোপা জিতে দেশে ফিরতে চাই।” পাকিস্তানের অতীতে ফাইনালের রেকর্ড: ১৯৮৬, ২০০০, ২০১২, ২০১৪ এবং ২০২২ সালে খেলেছে, কিন্তু ২০২২-এ শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছে।
টুর্নামেন্টে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে ভারতের আধিপত্য দেখা গেছে। গ্রুপ পর্বে ১৪ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে পাকিস্তান ১২৭ রান করে, ভারত ৭ উইকেটে (২৫ বল বাকি) জয় পায়। সুপার ফোরে ২১ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান ১৭১/৫ করে, ভারত ৬ উইকেটে (৭ বল বাকি) জয়ী হয়, যেখানে ওপেনার অভিষেক শর্মার ৩৯ বলে ৭৪ রানের ইনিংস ছিল চোখে পড়ার মতো।
টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের হেড-টু-হেড: ১৫ ম্যাচে ভারত ১১ জয়, পাকিস্তান ৩ জয়, ১টি টাই (যা ভারত জিতেছে)। এশিয়া কাপে (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে) ২১ ম্যাচে ভারত ১২ জয়, পাকিস্তান ৬ জয়, ৩টি পরিত্যক্ত।
দুবাইয়ের পিচ সাধারণত ব্যাটিং-বান্ধব, কিন্তু স্পিনাররা দ্বিতীয় ইনিংসে সুবিধা পেতে পারেন। আবহাওয়া পরিষ্কার, বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। স্টেডিয়াম ফুল হাউস, এমনকি সিনেমা হলে ম্যাচ দেখানো হচ্ছে।
ভারতের স্কোয়াড: সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), শুভমান গিল (সহ-অধিনায়ক), অভিষেক শর্মা, তিলক ভার্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, শিভম দুবে, অক্ষর প্যাটেল, জিতেশ শর্মা (উইকেটরক্ষক), জসপ্রিত বুমরাহ, আর্শদীপ সিং, বরুন চক্রবর্তী, কুলদ্বীপ যাদব, সঞ্জু স্যামসন (উইকেটরক্ষক), হার্ষিত রানা, রিংকু সিং।
পাকিস্তানের স্কোয়াড: সালমান আঘা (অধিনায়ক), আবরার আহমেদ, ফাহিম আশরাফ, ফখর জামান, হারিস রউফ, হাসান আলি, হাসান নাওয়াজ, হুসেইন তালাত, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ হারিস (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ নাওয়াজ, মোহাম্মদ ওয়াসিম, সাহিবজাদা ফারহান, সাইম আইয়ুব, সালমান মির্জা, শাহিন শাহ আফ্রিদি, সুফিয়ান মুকিম।
যদিও টুর্নামেন্টে কোনো বড় বিতর্কের খবর পাওয়া যায়নি, তবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সবসময় উত্তেজনাপূর্ণ। ক্রিকেটপ্রেমীরা এই ঐতিহাসিক লড়াইয়ের জন্য মুখিয়ে আছেন।

